নুরুল আমিন হেলালী :

পর্যটন নগরী কক্সবাজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম পশুর হাট ঈদগাঁও বাজারের কোরবানির পশুর হাটে গরু-মহিষে সয়লাব। তবে কোরবানির পশুর হাটে চাহিদা অনুযায়ি গরু-মহিষ উঠলেও বেচা-বিক্রি জমেনি। ২৬ আগষ্ট ঈদগাঁও বাজারের পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে পাশর্^বর্তী বিভিন্ন উপজেলা থেকেও খামারি ও বেপারিরা কোরবানির পশু বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন। তাই ঘনিয়ে আসা কোরবানির ঈদের পশুর জন্য হরেক সাজসজ্জ্বায় সাজানো হয়েছে ঈদগাঁও বাজারের পশুর হাট। এছাড়া হাটে পশু রাখার জন্য নির্দিষ্ট স্থান দিয়ে আলাদা করা হয়েছে। ইজারাদাররা জানিয়েছে ক্রেতাদের কেনাকাটা সুবিধার জন্যে প্রশাসনিক নিরাপত্তাসহ বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে পশুর হাটের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইজারাদাররা। তবে পর্যাপ্ত পরিমান গরু-মহিষ হাটে উঠলেও বেচা-কেনা অল্প বিস্তর চলছে বলে জানান ছৈয়দ আহমদ, লাল মিয়া সহ কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী। তবে তারা আশা করেন কোরবানের জমজমাট পশু বেচাকেনা শুরু হলে আরও ২/৩দিন পর। কোরবান উপলক্ষ্যে মৌসুমী পশু ব্যবসায়ী রাশেদ ও নুরুল হুদা জানায় আজ তারা ২৮টি মহিষ ও ২৫টি গরু বিক্রির জন্য হাটে এনেছেন। তবে ক্রেতাদের ক্রয় আগ্রহ কম থাকায় মাত্র ১১টি পশু তারা বিক্রি করতে পরেছে। অন্যদিকে হাটে কোরবানের পশু কিনতে আসা চাকুরীজীবি কাফি আনোয়ার ও মাষ্টার সোলতান আহমদ জানান, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর পশুর দাম অনেক বেশী চাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। তবে এখন অনেকেই শুধুমাত্র দাম দেখছেন এবং ব্যবসায়ীরা দাম হাঁকাচ্ছেন মনে হয় আগামী হাট থেকে পুরুদমে বেচা কেনা শুরু হবে। দেখা গেছে, মহাসড়কের উপর ঈদগাঁও বাজারের পশুর হাট বসায় দুরপাল্লার বাসগুলোতে জানজট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি দামে হাসিল নিচ্ছে বলে অভিযোগ ইজারাদারদের বিরুদ্ধে। ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি পরিদর্শক (তদন্ত) খাইরুজ্জামান জানান, ঈদগাঁও কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।